ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যরা মামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সিলেট পুলিশ সুপারের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
নিম্নে তা উল্লেখ করা হল:
আমি নিম্নে স্বাক্ষরকারী আপনার কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমার বোন ইমরানা বেগম (১৪) , মনসুর মহসিন ডৌউবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে ৭ম লেখাপড়া করে। বিগত ৬/৭/ ২০১৯ তারিখে স্কুলে যাওয়ার সময় ১নং বিবাদে জুয়েল আহমদ ও ২নং বিবাদি সিএনজি ড্রাইভার মোস্তফা মিয়া জোরপূর্বক আমার বোনকে সিএনজি যোগে অপহরণ করে জৈন্তাপুর থানাধীন করিচরপুল নামক স্থানে ফিসারিতে তাহার ইচ্ছারপূর্বক ধর্ষণ করে। পরিবর্তিতে উক্ত বিষয়ের বিরুদ্ধে আমি বাদি হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করি। যাহার মামলা নং ০৬, তারিখ: ৬.৭.২০১৯ যাহা গোয়াইঘাট জি, আর, মামলা নং ১৮৮/২০১৯। উক্ত মামলাটি বর্তমানে মাননীয় জুডিজিয়াল ম্যাজিষ্টেট আমলি আদালত-১০, গোয়াইঘাট, সিলেট বিচারধীন আছে। উক্ত মামলার বিষয়ে আপনাকে আমি পূর্বে অবগত করছিলাম,
যাহা স্বারক নং মিস/৮১৯১, আই সি আর ১৪.৭.২০১৯। উক্ত মামলা দায়েরের পর হইতে ১ ও ২নং বিবাদির পিতা ও আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে আমাকে মামলা তুলিয়া আনতে বলে, এবং যদি আমি উক্ত মামলা তুলে না আনি তাহলে আমার বিরুদ্ধে যে কোন ধরণের মিথ্যা মামলা করিয়া হয়রানি করিবে। কিন্তু আমি তাদের কথামত মামলা তুলে না আনায়, তারা সবাই মিলে উক্ত মামলার জের ধরিয়া ১নং বিবাদির পিতা ৩নং বিবাদি, বাদী হইয়া আমাকে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মিথ্যা ও সাজানোভাবে আমার বিরুদ্ধে জৈন্তাপুর সি আর মামলা নং ১২৯/২০১৯ মামলা দায়ের করে। এবং বিগত ১০.৯.২০১৯ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এস আই, ( নিঃ) বিপি- ৮০৯৯০৪৫৭০৫, জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর জোন), সিলেট কে আতাত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন লিপিবদ্ধ করে। তিনি বিবাদীগণ কতৃক আতাত হয়ে সম্পূর্ণ সত্যের বিপরীতে সরেজমিনে উপস্থিত না হয়ে আসল সত্য না জেনে তাহার মনগড়াভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। যাহার স্বাক্ষর নং -৫২৬/১২.৯.২০১৯ উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের মোট ৬জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। যার মধ্যে ৩জন হলেন বিবাদীর মেয়ের জামাই, এবং ২জন তাহার নিজ ছেলে। আর অন্যজন হলেন নিকটাত্মীয়। ৩নং বিবাদী বাদী হইয়া আমার বিরুদ্ধে জৈন্তাপুর সি আর ১২৯/২০১৯ মামলা দায়ের করিয়াছেন। তাহার কোন প্রমাণাদি তাদের কাছে নাই, উক্ত মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। বর্তমানে বিবাদীরা বলিতেছে, বিবাদীগণ আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন, তাহাতে যদি আমার শিক্ষা না হয়, তাহলে আমার উপর আরো মিথ্যা মামলা দায়ের করিবেন। এবং আমাকে বুঝিয়ে দিবে কীভাবে মামলা করি। এবং আমার আত্মীয়স্বজনকে বলছে, যদি আমি মামলা তুলিয়া না আনি, আমাকে প্রাণে হত্যা করিবে। এবং আমার বোন ইমরানা বেগম (১৪) সহ আরো একটি ছোট বোন তামান্না আক্তার (১১) কে অপহরণ করে পুণরায় ধর্ষণ করিবে। এবং আমার মা ও ভাইদের অপহরণ করে চিরতরে দুনিয়া থেকে উটাইয়া ফেলিবে। প্রকৃতপক্ষে আমি একজন অসহায় গরীব লোক, এবং আমার পরিবারের একমাত্র উর্পাজনশীল ব্যক্তি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভোগতেছি। যে কোন সময় বিবাদীগণ আমাদেরকে খুন-গুম করিতে পারে। তাই অন্য কোন উপায় না পেয়ে আপনার শরনাপন্ন হলাম। বর্ণিত বিবাদী এর কবল হইতে আপনি আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকদেরকে রক্ষা করার জন্য আকুল আবেদন। বর্ণিত বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানোগ ব্যবস্থা নিতে আপনার যেন মর্জি হয়।
বিবাদীগণ……..
১.জুয়েল আহমদ, (২২) পিতা: আব্দুল জলিল, ২. মোস্তফা মিয়া, পিতা : মৃত সোনাউল্লাহ, ৩. আব্দুল জলিল, (৭০) পিতা: মৃত রোপা মিয়া, ৪. হেলাল মিয়া, (৫২) পিতা সফিক মিয়া , ৫. হেলাল আহমদ, (২৯) পিতা: আব্দুল জলিল, ৬. আবুল হোসেন, পিতা: অজ্ঞাত, ৭. নুরুদ্দীন (২৭) পিতা: বরকত উল্লাহ, সর্বসাং-দলইপাড়া, (বাঘেরখাল) থানা, জৈন্তাপুর, জেলা সিলেট। ৮. আব্দুল্লাহ, (৪৭) পিতা: মৃত রিয়া মিয়া, সাং হাটগ্রাম, থানা: গোয়াইঘাট, জেলা, সিলেট, ৯. ময়না মিয়া (৪৫) পিতা: মৃত: আব্দুল বারী, সাং পুরারমহল, থানা, গোয়াইনঘাট, সিলেট সহ অজ্ঞাত আরো অনেকে………